প্রথমে জিটুজি পরে বাণিজ্যিকভাবে টিকা পাবে বাংলাদেশ: শ্রিংলা
ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউশনে তৈরি টিকা বাংলাদেশ পাওয়া না পাওয়ার খবর ছড়ানোর পরই তিনি আশ্বস্ত করলেন বাংলাদেশকে।
ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। বর্তমানে তিনি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্বরত।
টিকা নিয়ে আরো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জি টু জি ভিত্তিতে বাংলাদেশের জনগণকে ভ্যাকসিন দেবে ভারত। প্রাথমিক অবস্থায় এই টিকা বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ করা হবে না। তবে বৃহৎ পরিসরে যখন উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হবে, তখনই বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।’
সম্প্রতি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউশন থেকে উৎপাদিত কোভিড-১৯ টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির সরকার। এমন গুঞ্জনে জল ঢেলে দিলেন শ্রিংলা।
কোভিশিল্ড নামের ওই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সোমবার (৪ জানুয়ারি) এ টিকা আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনও দিয়েছে।
প্রতি ডোজ দুই ডলার দরে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন কিনছে বাংলাদেশ সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। তবে করোনা ভ্যাকসিন দেশে আসার পরও প্রয়োগের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে সময় লাগবে অতিরিক্ত আরও ২ মাস।